ঘুমধুম পয়েন্টে নির্মিত হচ্ছে ২টি ট্রানজিট ক্যাম্প

বিশেষ প্রতিবেদক :

সংঘাত চললেও সীমান্তের ঘুমধুমের লাল ব্রীজ হয়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রম যথাসময়ে শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান।

তিনি শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে এ আশার কথা জানিয়ে বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি তাদের দেশে ফেরৎ যাবে এটাই স্বাভাবিক। তাই দু’দেশের সিদ্ধান্ত মতে আশ্রয় শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সে দেশের ফেরত পাঠাতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি ২ টি ক্যাম্প নির্মান করা হচ্ছে ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ক্যাম্প ২টির মধ্যে একটি তুমব্রু পষ্চিমকূল পাহাড় পাড়ায়। অপরটি ঘুমধুম বিজিবি চৌকির পাশে। ২ টি ক্যাম্পের নির্মান কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে । আগামী মাসে (মার্চে ২০২৪) এ দুই ক্যাম্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ কাজের মাঠ পর্যায়ের তদারককারী কর্মকর্তা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) আবদুল্লা আল নোমান।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ সীমান্তের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, সীমান্তে ওপারে কী হচ্ছে বুঝা যাচ্ছ না। ২২ জানুয়ারি থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত তুমুল সংঘর্ষ চললেও শুক্রবার সারা দিন সেপারে থমথমে অবস্থা দেখা যাচ্ছ। তবে লোকজন তাদের গতিবিধি দেখে আতংকে রয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন,মানবিক কারণে বাংলাদেশ সরকার মৌলিক সেবা দিচ্ছে রোহিঙ্গাদেরকে। তাদেরকে নিজ দেশে ফিরে তো যেতেই হবে। মিয়ানমারের আভ্যন্তরীন সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তেমন প্রভাব পড়বে না।

তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের আলোকে সরকার প্রায় বাংলাদেশে অবস্থানরত ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সিদ্ধান্ত নেন।

সে অনুসারে তারা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের লাল বীজের অদূরে জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি ১ টি প্রত্যাবাসন ক্যাম্প ও ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পশ্চিমকূল পাহাড় পাড়া এলাকায় ১ টি ট্রানজিট ক্যাম্প তৈরী করা হচ্ছে । যা আগামী মার্চে শেষ হবে। এর পরপরই এদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করার কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করেছেন এ কর্মকর্তা।